বাংলা ফটো নিউজ (দেলোয়ার হোসেন মৃধা, লক্ষ্মীপুর) : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ডে বিদ্যুতের মিটার ও সংযোগের নামে এলাকাবাসীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও গ্রাহকদের মাঝে তিব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে ।
রায়পুরের ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বংশী গ্রামে ও ৮নং দক্ষিণ চরবংশী চরকাছিয়া এলাকার মিয়ার বাজারে এ গ্রাহক হয়রাণীর ঘটনা ঘটে। স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মাষ্টার এ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন।এলাকাবাসী জানায়, উত্তর চরবংশীতে দালাল জৈনক রুহল আমিন কারবারি, হোসেন মেস্তরী, জাহাঙ্গির ফরায়েজি, ওহিদ আলীর ও মিতালি বাজারের কথিত ইলেকট্রিশিয়ান সবুজ বিরুদ্ধে ৬ শতাধিক গ্রাহক থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে চরকাছিয়া মিয়ার বাজারে প্রায় ৫৫০ মিটার দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় আবদুল জব্বার মাষ্টার, মো: আলী রাঢী, মান্নান বেপারী ও চিদ্দিক প্রধানিয়া জনপ্রতি ৫/৭ হাজার টাকার বিনিময়ে নতুন সংযোগ দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সরকারের দুই মেয়াদে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় তিন গুন। আর এতে সংক্রিয় হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্র। জেলার রায়পুর উপজেলার প্রত্যান্তঞ্চলে গড়ে উঠা দালাল চক্রের কবলে পড়ে গ্রাহকেরা হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। দালাল চক্রের এ সব অনিয়ম- দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য রুখবে কে? এমন প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ জনগনের মাঝে।
তবে ওই দালাল চক্রের একজন বলেন, ঠিকাদারদের টাকা না দিলে গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ আসবে সবার শেষে। কাজ করলে টুকটাক খরচ লাগে এবং সর্বক্ষেত্রে টাকার প্রয়োজন হয়। ঠিকাদার ও বিদ্যুতের লোকজনকে টাকা ছাড়া কাজ করানো অসম্ভব। আমরা এলাকার স্বার্থে কিছু কাজ করছি এবং টাকাও নিয়েছি যে তা সত্য।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার (জি এম) শাহজান কবির বলেন, পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগের নেওয়ার ব্যপারে প্রতিটি গ্রামে মাইকিং করা হয়েছে কোন দালাল কে টাকা না দেওয়ার জন্য। তার পরও তারা কেন দালাদের টাকা দেয়। অভিযোগ পেলে, ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানান এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply