বাংলা ফটো নিউজ : সাভারে চাঁদাবাজি মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পৌরসভার বিনোদবাইদ এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুস সালাম রুবেল (৪০), জামসিং এলাকার ইসমাইল হোসেন (৫০) ও তার ছেলে সাজ্জাদ আরিফ (২১)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে থানা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ভাটপারা এলাকার পরিবহন ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদের কাছে র্দীঘদিন যাবৎ চাঁদা দাবী করে আসছিল তারা। এক পর্যায়ে আপেল মাহমুদ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার গাড়িটি আটক করে চাঁদাবাজ আসামীরা। এ ঘটনায় গত ১৮ মে শনিবার বিকেল সাড়ে ৬টারদিকে ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদকে ফোন করে মিমাংসা করে দেওয়া কথা বলে বাজার রোড আসতে বলেন আব্দুস সালাম রুবেল। এসময় বাকি আসামীরা আপেল মাহমুদকে মারধর করে তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তার থেকে জোরপূর্বক নন জুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এছাড়া ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর কাছে থেকে চাঁদা হিসেবে ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
সাভার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই ) রুবেল হোসেন জানান, আব্দুস সালাম রুবেলের বিরুদ্ধে পরিবহন ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে (নং-৬৭)। সেই মামলায় রুবেল ও অপর দুই আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ওই মামলায় মোট ৫ জনকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন, জামসিং এলাকার মান্নান সরকারের ছেলে শামীম সরকার (২৪) ও নয়াবাড়ী এলাকার মৃত মোসলেম গাজীর ছেলে মো: লিটন। তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে গ্রেফতার হওয়ার পর থানায় আব্দুস সালাম রুবেল নিজেকে সংবাদকর্মী দাবি করে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, পরিবহন ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করায় তাকে চাঁদাবাজির মামলায় ফাসানো হয়েছে।
তবে সাভার মডেল থানার ওসি এএফএম সায়েদ জানান, আসামীদের মধ্যে রুবেলের বিরুদ্ধে পরিবহন ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদের করা চাঁদাবাজির মামলা ছাড়াও যুবলীগ নেতা শেখ সাঈদের করা আরো একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া আব্দুস সালাম রুবেল মাঝে মাঝে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও মানুষের সঙ্গে প্রতারনা করতো। তার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগও রয়েছে।
Leave a Reply