বাংলা ফটো নিউজ : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কেনাকাটার পাশাপাশি শিশুদের জন্য বাড়তি বিনোদন যোগ করছে মেলার ভেতরের ছোট্ট পার্ক।অভিভাবকরাও ক্লান্তি কাটানোর সুযোগ নিচ্ছেন পার্কে এসে। সব বয়সের মানুষই ভিড় করছেন এ বিনোদন কেন্দ্রে। হৈ-হুল্লোড় আর উচ্ছ্বাসে একটু বেশিই প্রাণবন্ত ছোট্ট শিশুপার্ক।
আর এ কারনেই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বাবা মায়ের সাথে ভিড়ে যোগ হয়েছে শিশুরাও।
বাণিজ্য মেলায় শিশুদের বাড়তি আনন্দ দিতে রয়েছে বিনোদন পার্ক। শিশু-কিশোরদের বিনোদনের এ জোনটিতে রয়েছে ৮ থেকে ৯টি রাইড। এ জায়গাটিতে ঢুকলেই শুনতে পাওয়া যায় শিশুদের চিৎকার ও হৈ-হুল্লোড়ের শব্দ।
পার্কের এক প্রান্তে মেলে ট্রেন, নাগরদোলাসহ বেশ কয়েকটি রাইড। ৪০ থেকে ৬০ টাকার বিনিময়ে উপভোগ করা যাচ্ছে এসব রাইড। ইচ্ছেমতো কেউ উড়ছে হেলিকপ্টারে, কেউ ঘোড়সওয়ার, আবার কেউ অভিভাবকের পাশে বসে দোলনায়, নাগরদোলায় আর দোল খাওয়া সাম্পানে- যাত্রী বেশে। কেউবা চলছে ট্রেনে।
সাভার থেকে স্ত্রী ও পুত্র নিয়ে আসা সাভার প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলী বলেন, শিশুদের জন্য খেলাধুলার জায়গার বড়ই অভাব। বাসা-বাড়িতেও নেই এমন স্থান। শিশুদের হৈ-হুল্লোড় দেখে বোঝা যায় কতটা আনন্দিত তারা?
শুধু সাংবাদিক রওশন আলী নয় তার মতো অনেক অভিভাবক মনে করেন দর্শনার্থীদের ভিড়ের তুলনায় রাইডের সংখ্যা বেশ কম।
কেবল বিনোদনেই শিশুদের সময় কাটে না, বাণিজ্যমেলায় এসে অভিভাবকদের সাথে পছন্দের কেনাকাটায় ব্যস্ত তারা। দোকানিরাও নানা রকম খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেছে মেলায়। আবার মাঠের মধ্যে শিশুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হকাররা উড়াচ্ছে পাখি। প্লাস্টিকের তৈরি এ পাখিগুলো শিশুরা সহজে উড়াতে না পারলেও তা নিয়ে চলে তাদের কাড়াকাড়ি। কেউ আবার বাঁশিতে ফু দিচ্ছেন। কোনও কোনও শিশু বিভিন্ন প্যাভিলিয়নে ঢুকে সেখানে সাউন্ড বক্সে বাজতে থাকা গানের সঙ্গে সঙ্গে শুরু করে দিচ্ছে নাচ। তাদের এ আনন্দে দোলা চিত্র দেখে আনন্দ পাচ্ছেন অভিভাবকরা।