বাংলা ফটো নিউজ : আদালতের নির্দেশে দাফনের ২৩ দিন পর কবর থেকে জামাল হোসেন গোলদার নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ওই ব্যবসায়ীকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূরের উপস্থিতিতে সাভার পৌরসভার রাজাশন এলাকা থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
নিহত জামাল হোসেন দক্ষিণ রাজাসন ঘাসমহল কাইজ্জারটেক এলাকার মৃত ফরিদ আহমেদ গোলদারের ছেলে। তিনি ঢাকার গাবতলী এলাকায় ইঞ্জিন ওয়েলের ব্যাবসা করতেন এবং রাজাসন এলাকার রিয়াদ ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইমরান হোসেন গোলদার বাদী হয়ে ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে বাসা থেকে বের হন নিহত জামাল হোসেন গোলদার। দক্ষিণ রাজাসন সাইনবোর্ড এলাকার ফোরকান হাকিমের বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১২ টা ২৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় স্ট্রোকজনিত কারণে হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই জামাল হোসেনের মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়।
তবে মামলার বাদী ও নিহতের ভাই ইমরান হোসেন গোলদার জানান, প্রথমে তিনি ফোরকানের কথা শুনে এটিকে স্ট্রোক করে মারা গেছেন ভেবেই ভাইকে কবরস্থ করেন। পরে তাদের কথাবার্তায় ও মৃত্যুর আলামত দেখে তার বুঝতে বাকি থাকে না যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ইতিপূর্বে ইমরানের ভাই নিহত জামাল হোসেন ফোরকান হাকিমের কাছে ২ লাখ টাকা পাওনা ছিলেন। পাওনা টাকা চাইলে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। প্রতিশোধ নিতে ফোরকান হাকিমের সঙ্গে লোকমান হাকিম, গোফরান হাকিম ও কাঞ্চন শিয়ালী ওরফে দিন মোহাম্মদ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইমরান হোসেন গোলদারের ভাই জামাল হোসেনকে হত্যা করেছে। এর দুইদিন পর সাভার মডেল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশের পরামর্শে আদালতে মামলা করেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লা বিশ্বাস জানান, নিহত জামাল হোসেন গোলদারের বড় ভাই ইমরান হোসেন গোলদার গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী চারজনের নাম উল্লেখ করে আরো সাত-আট জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সাভার আমলী আদালতে রুজু করে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
সাভার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নূর বলেন, দাফনের দুইদিন পর নিহতের ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ ২৩ দিন পর আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply