বাংলা ফটো নিউজ : ভাঙ্গায় শনিবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজী জাফরউল্লাহ ও এমপি নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উপজেলা পরিষদের সামনে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০জন আহত হন। তাদের মধ্যে পুলিশের গুলিতে ২জন আহত রয়েছেন।
সংর্ঘষকারীদের দেয়া আগুনে নিক্সন চৌধুরীর অফিসের আসবারপত্রসহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সংর্ঘষে গুরুতর আহতরা হলেন- সাদ্দাম হোসেন, আরিফ হোসেন, শানু সর্দার, ইব্রাহীম কাজী, ইমরান মাতুব্বর, কাবুল মাতুব্বর, শাহাদাৎ খয়রাতী, তুহিন মিয়া, রীমাদ ও নয়ন। আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মিরাজ হোসেন জানান, উপজেলা পরিষদের সামনে একটি প্রাইভেটকার পাকিং করাকে কেন্দ্র করে কাজী জাফরউল্লাহ সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেক শাহীনের ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েলের সাথে এমপি নিক্সন চৌধুরীর সর্মথক লিটন মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। একই স্থানে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ও নিক্সনের অফিস থাকায় উভয় পক্ষের সমর্থকরা রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষে লিপ্ত হন। খবর পেয়ে পুলিশ প্রয়োজনীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্জ করে। এতে করে উভয় পক্ষের লোকজনই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
সংর্ঘষ চলাকালে এমপির অফিসের সামনে কেউ আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলা পরিষদে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বিকালে এমপির একটি মিটিং নিয়ে আমরা অফিসে বসে সভা করছিলাম। অতর্কিত কিছু লোকজন আমাদের অফিসে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে করে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ বেশকিছু আসবারপত্র পুড়ে যায়। পুলিশের ছোড়া গুলিতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেক শাহীন বলেন, আমরা শিমুল বাজারের মন্ত্রী মহোদয়ের একটি জনসভায় সকলে উপস্থিত ছিলাম। আমার এক নিকট আত্মীয়র একটি গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে এমপির লোকজনই আমাদের উপর হামলা করে কর্মীদের মারপিট করে।
Leave a Reply