বাংলা ফটো নিউজ : অসদাচরণ ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে ৫ দিন আগে যোগদান করা আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ খায়রুল বাশার ভূঁইয়াকে তাঁর এজলাস থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ছাত্র-জনতা পরিচয় দেওয়া কিছু ব্যক্তি সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটান।
সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের কর্মচারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার যথাসময়ে স্যার অফিসে এসে কাজ শুরু করেন। বেলা ২টার দিকে ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্র ও জনতা অফিসে ঢুকে স্যারকে বের হয়ে যেতে বলেন। তিনি তখন এজলাসে বসে দলিল নিবন্ধন করছিলেন। স্যার বের হতে না চাইলে তাঁরা টেনেহিঁচড়ে স্যারকে বের করে দেন। এরপর তিনি চলে যান। স্যার চলে যাওয়ার পরপরই ছাত্র-জনতা বের হয়ে যান।
আশুলিয়া দলিল লেখক সমিতির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, দুপুরে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের ভেতরে ছাত্র-জনতার হইচই শুনে এগিয়ে যাই । তাঁদের কয়েকজন নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেন। তবে তাঁরা কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, তা জানা সম্ভব হয়নি। কী কারণে তাঁরা হইচই করেছেন, তা-ও জানা যায়নি।
খবর পেয়ে বেলা ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো ছাত্র-জনতাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় অফিসও ছিল প্রায় ফাঁকা। সেখানে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মচারী জানান, সাব-রেজিস্ট্রারকে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও অসদাচরণের অভিযোগ তোলেন ছাত্র-জনতা।
এ নিয়ে কথা হলে কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মিতা সাহা বলেন, দুপুরের দিকে একদল ছাত্র-জনতা আমাদের অফিসে আসেন। উত্তেজিত হয়ে তাঁরা স্যারকে বের হয়ে যেতে বলেন। তাঁদের চাপের মুখে ও হেনস্তার শিকার হয়ে স্যার এজলাস থেকে নেমে অফিস থেকে বের হয়ে যান। তাঁদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তাঁদের ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণও আমরা জানি না।
ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য এসেছিলেন কি না জানতে চাইলে মিতা সাহা বলেন, ঘটনার বিষয়টি স্যার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য বা কর্মকর্তা আসেননি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাব-রেজিস্ট্রার খায়রুল বাশারের মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিয়ে ও মেসেজ পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply