বাংলা ফটো নিউজ : নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে এক শিক্ষককে মারধর করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা এবং এর সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সঞ্জীব বলেন, একটা অভিযোগের ভিত্তিতে কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই রাস্তায় শিক্ষককে হেরেজমেন্ট করা হয়েছে। তাকে অন্যায়ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষককে কোন পূর্ব নোটিশ ছাড়াই আজীবন নর্থসাউথ থেকে সাস্পেন্ড করা হয়। এটা কোন নিয়ম মেনে করা হয়েছে? এর সুস্পষ্ট তদন্ত চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সোহেল বলেন, দেশে কি কোন আইন নেই, দেশে কি বিচার নেই? যে একটা স্বাধীন দেশে অন্যায়ভাবে একজন শিক্ষককে হেনস্তা করা হবে। তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্ররা রাস্তায় মারধর করে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যেসব শিক্ষার্থী শিক্ষকের গায়ে হাত তুলেছে তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এসময় ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসলিমা খাতুন বলেন, পুরো ঘটনা সবার সামনে আসুক এবং সুষ্ঠু তদন্ত হোক। কোনো তথ্য ছাড়াই তারা হ্যাশট্যাগ দিয়ে একটা নাটক সাজায়ে দিল। শিক্ষক দোষী হলেও তার গায়ে হাত তোলার অধিকার কোনো শিক্ষার্থীর নাই। আমরা বিলিভ করি, স্যার এমন কোনো কাজ করতে পারে না। কারণ তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এ বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করছেন। আমরা এর বিচার চাই।
পরিসংখ্যান বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকের পরিকল্পিত ভাবে হেনস্তা করা হয়। তাও রাস্তায়, যেখানে পাবলিক এসে মারধর করে। এটা স্পষ্ট যে এটা একটা পূর্ব পরিকল্পিত ও সাজানো নাটক। এছাড়া কোন পূর্ব নোটিশ ছাড়া নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি শিক্ষককে অপসারণ করে।
তিনি আরও বলেন, কোন নোটিশ ছাড়া একজন শিক্ষককে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপসারণ করার কোন আইন আছে কি-না আমার জানা নেই। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। অতিসত্বর আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা রাজপথে নামবো। প্রয়োজনে সড়ক অবরোধ করবো। বিশ্ববিদ্যালয় ওনসরকারের কাছে আমাদের দাবি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। এতে যদি শিক্ষক বা অন্য কেউ অপরাধী হয় তার শাস্তি হোক।
উল্লেখ্য, সোমবার (১২ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাবি শিক্ষক আতিকুর রহমানকে কয়েক তরুণের ধাওয়া করা ও মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই শিক্ষককে বেধড়ক মারধর ও হুমকি দিচ্ছেন কয়েক তরুণ।
এর আগে অধ্যাপক আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। মারধরের শিকার আতিকুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। পাশাপাশি তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন।
Leave a Reply